সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ইউক্রেনে হামলার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে রাশিয়া। যুদ্ধের বর্ষপূর্তির আগে ব্যাপক পরিসরে হামলা চালিয়ে দেশটির বাখমুত শহরের দখল নেওয়ার চেষ্টা করছে মস্কো। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই শহরের দখল নিতে পারলে আশপাশের আরও কিছু শহর সহজে চলে আসবে রুশ বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। ইউক্রেনও প্রাণপণ চেষ্টা করছে, যাতে বাখমুত হাতছাড়া না হয়।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে পশ্চিমা মিত্রদের কাছে দ্রুত অস্ত্র সহায়তা চেয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এমনকি সামরিক জোট ন্যাটোর মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, ইতোমধ্যে ইউক্রেনকে যেসব অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, সেগুলো দ্রুত সরবরাহ করা উচিত।
পরিপ্রেক্ষিতে সুইডেনের প্রধানমন্ত্রী উল্ফ ক্রিস্টারসন বলেছেন, স্টকহোম খুব দ্রুতই ইউক্রেনকে প্রতিশ্রুত অস্ত্র পাঠাবে। এর মধ্যে রয়েছে ভয়ঙ্কর আর্চার আর্টিলারি ক্যানন। তবে তিনি বলেন, ভবিষ্যতে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার ক্ষেত্রে নিজের প্রয়োজনের কথা চিন্তা করবে স্টকহোম। কারণ তার দেশ সামরিক জোট ন্যাটোর সদস্য হওয়ার চেষ্টা করছে।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ সফরকালে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার দেশ ইউক্রেনকে আর্চার হাউইটজার, ৫১ ইনফ্যান্ট্রি ফাইটিং ভেহিকল এবং অ্যান্টি-ট্যাংক অস্ত্র দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একত্রে এসব অস্ত্র চলমান যুদ্ধের ময়দানে ইউক্রেনকে গুরুত্বপূর্ণ বাড়তি শক্তি দেবে।
ইউক্রেন যখন দেশটির পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার নতুন হামলার মোকাবিলায় নিজেদের ভূখণ্ড আঁকড়ে ধরে রেখেছে, তখন গত মাসে সর্বশেষ এই অস্ত্রের প্যাকেজ ঘোষণা করে সুইডেন, যা উল্ফ ক্রিস্টারসনের নেতৃত্বাধীন নতুন সরকারের প্রথম ঘোষণা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।